ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুক্রবার দিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠক, যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ০৭-০৯-২০২৩ ০৬:১০:১৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৭-০৯-২০২৩ ০৬:১০:১৩ অপরাহ্ন
শুক্রবার দিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠক, যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে ফাইল ছবি :
শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে বৈঠক হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। যাইহোক, সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে, বৃহত্তর সম্পর্কের সমগ্র বর্ণালী আলোচনার জন্য নাও আসতে পারে।
কানেক্টিভিটি, তিস্তার পানি বণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা ও খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বৈঠকে আলোচনার অগ্রাধিকারের বিষয় হতে পারে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে অনেক প্রকল্পে জড়িত এবং সেগুলো বাস্তবায়নে সমস্যা হতে পারে।
নির্ধারিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিও উত্থাপন করবে বাংলাদেশ। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হয়ে যাবে উল্লেখ করে রোববার সাংবাদিকদের মাসুদ বিন মোমেন বলেন, 'আমাদের কাছে তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যু আছে যা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে উত্থাপন করতে হবে। আমাদের অন্যান্য সমস্যা আছে। আমাদের ৫৪ টি অভিন্ন নদী আছে।'
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সব সময়ই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা সর্বদা তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে। এছাড়াও, এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের সাথে পার্থ  করেছে। 'আমরা সবসময় এটিকে এজেন্ডায় রেখেছি। এবারও আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলবেন। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে দুই দেশের মধ্যে পানি বণ্টন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। কারণ দুই দেশ পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কাজ করতে 'মানসিকভাবে একমত'।'
পূর্বের আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন। যার খসড়া চূড়ান্ত হয় ২০১১ সালে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময়, দুই নেতা নদী দূষণের মতো সমস্যা মোকাবেলা এবং অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ ও নদীর নাব্যতা উন্নত করার জন্য কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, নয় থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের 'সোনালী অধ্যায়ে' আরেকটি মাত্রা যোগ করবে। সূত্র: ইউএনবি/ইত্তেফাক

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ